খেজুর তার শক্তি বৃদ্ধির গুণাবলীর জন্য খুব জনপ্রিয়। কিন্তু আপনি কি জানেন খেজুরের বীজ কতটা উপকারী? আসুন জানা যাক।
খেজুরের বীজ খুবই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন, বিশেষত যখন গুঁড়ো করা হয়, কারণ এটি রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এটা ভালভাবে বোঝার জন্য আসুন দেখি বিশেষজ্ঞরা কি বলছে।
জিনডাল ন্যাচারকিওর ইনস্টিটিউটের প্রধান ডায়েটেশিয়ান সুষমা পিএস বলেন, খেজুরের বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। “খেজুর সুস্বাদু ফল হিসেবে পরিচিত, এবং এতে রয়েছে নানা রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা। কিন্তু খেজুরের বীজও কম পুষ্টিগুণে ভরা নয়। এই বীজের কিছু উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবিটিক রোগীদের বা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকা ব্যক্তিদের জন্য খেজুরের বীজ উপকারী হতে পারে।”
আর্টেমিস হাসপাতালের ক্লিনিকাল নিউট্রিশনিস্ট ডা. সঙ্গীতা তিওয়ারী বলেন, খেজুরের বীজে দৈনন্দিন ফাইবারও প্রচুর পাওয়া যায়, যা পরিপাক ব্যবস্থার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডা. তিওয়ারী জানান, “এই ফাইবার নিয়মিত পাচন প্রক্রিয়াকে সহজ করে। এবং পেটপূর্ণতার অনুভূতি দিতে পারে যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।”
খেজুর বীজের পাউডার রক্তে অতিরিক্ত শর্করা মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তবে সুস্থ মানুষদের ক্ষেত্রে শর্করা মাত্রায় কোন পরিবর্তন হয় না। এর অর্থ হল ডায়াবিটিক রোগীদের জন্য খেজুর বীজের পাউডার উপকারী।
ডা. তিওয়ারী আরও বলেছেন, খেজুরের বীজে অ্যান্টিঅকসিডেন্ট প্রচুর থাকায় এগুলি শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল দূর করে, কোষগুলিকে ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে, এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
তবে খেজুরের বীজ খাওয়ার আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। বিশেষ করে, যদি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য খেতে চান। সুষমা জানাচ্ছেন, “যদি আপনার আগে থেকেই কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে বা ওষুধ খাচ্ছেন, তাহলে কোনো খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করার আগে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেওয়া ভাল।”
খেজুর বীজের পাউডার কীভাবে বানাবেন?
- খেজুর খেয়ে ফেলার পর বীজগুলি ফেলে দেবেন না। বীজগুলি ভালো করে ধুয়ে নেবেন, যাতে খেজুরের কোনো অংশ লেগে না থাকে।
- তারপর বীজগুলিকে ভাল করে একটা বেকিং শিটে ছড়িয়ে দিয়ে শুকিয়ে নেবেন।
- এরপর শুকনো বীজগুলিকে ওভেনে শেঁকে নেওয়া প্রয়োজন। ওভেনের তাপমাত্রা সেট করবেন 200°C (390°F) এ। এই ধাপটি সম্পন্ন করার পর, শেঁকা বীজগুলিকে ঠাণ্ডা হতে দেবেন।
- তারপর ঠাণ্ডা বীজগুলিকে ব্লেন্ডারে গুড়ো করে নেবেন।
- গুড়ো করে নেওয়ার পর সেই পাউড়ার একটি বায়ুরোধী পাত্রে ভরে ঠান্ডা, শুকনো জায়গায় রাখবেন।
খেজুর ভীজের পাউডার কীভাবে খাবেন?
স্মুদিতে: আপনার স্মুদির পুষ্টিগুণ বাড়ানোর জন্য এক চা চামচ খেজুর বীজের পাউডার মিশিয়ে দিতে পারেন।
বেকারি দ্রব্যে: কুকিজ বা মাফিনে খেজুর বীজের পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।
তবে খেজুর বীজের পাউডার পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় দেওয়া তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। আপনার কোনো চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
লাইফস্টাইল সংক্রান্ত এরকম আরও খবর পড়তে হলে চোখ রাখুন সংবাদ ভূমি ইন্ডিয়া ওয়েবসাইটে।