Can Rice Cause Coughing: অনেকের ধারণা, ঠাণ্ডা লাগলে বা কাশি হলে শুধু ঠাণ্ডা জল আর দই নয়, ভাত খাওয়াও বন্ধ করা উচিত। কিন্তু এই ধারণা কি সত্যিই বৈজ্ঞানিক? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে এগিয়ে এসেছেন বিখ্যাত ডাক্তার জামাল এ. খান।
View this post on Instagram
তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সাধারণ ধারণার বিপরীতে, ভাত খেলে কাশি বাড়ে না বা কাশি হয় না। ডাক্তার খান আরও বলেন, ভাত শর্করা জাতীয় পুষ্টিকর খাদ্য যা শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। উত্তর ভারতের অনেক পরিবারে যা বিশ্বাস করা হয়, তার বিপরীতে, ভাত কাশি বাড়ায় না। গমের মতো ভাত থেকে কোনো অ্যালার্জি হয় না। গম থেকে কিছু লোকের গ্লুটেন অ্যালার্জি হতে পারে। তাই ঠাণ্ডা লাগলে বা কাশি হলে ভাত খাওয়া বন্ধ করার কোনো প্রয়োজন নেই।
তাহলে এই ভুল ধারণার কারণ কী?
ডাক্তার শ্বেতা বানসালের মতে, ভাত নিজে থেকে কাশি বাড়ায় না। তবে কিছু বিশেষ কারণে ভাত খাওয়ার সাথে কাশির সম্পর্ক থাকতে পারে।
কারণ:
- অসিদ্ধ ভাত: ভাত যদি ভালোভাবে সিদ্ধ না হয় বা তাতে কোনো দূষিত পদার্থ থাকে, তাহলে গলায় জ্বালা করতে পারে এবং কাশির কারণ হতে পারে।
- চালের ধুলো: রান্না করার সময় বা খাওয়ার সময় যদি চালের সূক্ষ্ম কণা শ্বাসের সাথে ভেতরে চলে যায়, তাহলে কাশি হতে পারে।
- খাওয়ার ধরন: যদি কেউ খুব তাড়াতাড়ি খায়, তাহলে ভাত গলায় আটকে গিয়ে কাশি হতে পারে। তবে এটি খুব কমই ঘটে।
ডাক্তার নীতি শর্মা ডাক্তার শ্বেতা বানসালের সাথে একমত। তিনিও বলেন, ভাত নিজে থেকে কাশি বাড়ায় না। তিনি আরও বলেন, “ভাত ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেতে হবে। ভাতের সাথে ঠাণ্ডা বা কাশির কোনো সম্পর্ক নেই। যদি আপনার আগে থেকেই কাশি থাকে, তাহলে ভালো করে গার্গল করে গলা পরিষ্কার করুন। ভাত কাশি বাড়ায় না।”
ডাক্তার শর্মার মতে, অসুস্থ অবস্থায় গরম এবং নরম খাবার যেমন ভাত গলার জন্য ভালো। এটা গিলতে সহজ এবং শরীরকে পুষ্টি দেয়।
লাইফস্টাইল সংক্রান্ত এরকম আরও খবর পড়তে চোখ রাখুন সংবাদ ভূমি ইন্ডিয়া ওয়েবসাইটে।