আমরা জানি গ্লিসারিন চামড়ার জন্য উপকারী, কিন্তু এটি চুলের জন্যও উপকারী! এই তথ্য কি আপনাকেও আমাদের মতো অবাক করে দিল? চিন্তা নেই, এখানেই আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
ডা. রিঙ্কি কাপুর, দি এস্থেটিক ক্লিনিকের সহযোগী ত্বক রোগ বিশেষজ্ঞ ও কসমেটিক সার্জন বলছেন, গ্লিসারিন মাথায় মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়, বিশেষ করে আপনার স্ক্যাল্প যদি শুষ্ক, খসখসে হয় বা চুলকায়। গ্লিসারিন হল এক প্রকার হিউমেকট্যান্ট, অর্থাৎ এটি পরিবেশ থেকে আর্দ্রতা আকর্ষণ করে এবং চামড়াতে এটি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
গ্লিসারিন ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
কোমলতা
গ্লিসারিন স্ক্যাল্পের শুষ্কতা দূর করে এবং চুলকে মসৃণ করে তোলে। নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে মাথার ত্বক সুস্থ ও তরতাজা থাকে, ফলে চুল পরিচর্যা করা সহজ হয়ে যায়। ডা. কাপুর বলছেন, “এটি শুষ্ক ত্বকজনিত সমস্যা যেমন খুশকি প্রতিরোধ করতে পারে।”
স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য উন্নতি
ডা. কাপুর জানান গ্লিসারিন নিয়মিত ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা সুষম থাকে এবং চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়।
গ্লিসারিন কিভাবে ব্যবহার করবেন?

ডাঃ কাপুর বলছেন, “স্ক্যাল্পে গ্লিসারিন লাগানোর আগে এটিকে জলের সাথে বা আপনার পছন্দের চুলের তেলের সাথে মিশিয়ে নেওয়া উচিত। কারন এতে গ্লিসারিন হালকা এবং কম আঠালো হয়। এরপর স্ক্যাল্পে সমানভাবে লাগিয়ে নিন এবং আলতোভাবে মালিশ করে গ্লিসারিনকে ভালোভাবে ছড়িয়ে দিন।”
সতর্কতা
যদিও গ্লিসারিন সাধারণত নিরাপদ, তবুও ডাঃ কাপুর প্যাচ টেস্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে করে কোনো এলার্জির সমস্যা না হয়। তিনি বলছেন, “একইসাথে বেশি পরিমাণে গ্লিসারিন ব্যবহার করবেন না, কারণ তাতে স্কল্যাপ এবং চুল চিটচিটে অথবা তৈলাক্ত হয়ে যেতে পারে।”
ডিসক্লেইমার: লেখায় দেওয়া তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। আপনার কোনো চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
লাইফস্টাইল সংক্রান্ত এরকম আরও খবর পড়তে হলে চোখ রাখুন সংবাদ ভূমি ইন্ডিয়া ওয়েবসাইটে।